চাঁদপুরে ধর্ষণের অভিযোগে যুবতীর মামলায় কবিরাজ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে প্রেমিকের সাথে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় তাকে বসে আনতে তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিমের (৫৫) কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক যুবতী। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ওই কবিরাজকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডে মা মেডিকেলের ঔষধ ফার্মেসীর দোকানে পেশায় তান্ত্রিক কবিরাজ ও ডাক্তারী কাজ করে থাকে। যুবতীর ব্যক্তিগত সমস্যাসহ প্রেমিকের সাথে দূরত্ব হওয়ায় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ভাল হওয়ার জন্য তান্ত্রিক কবিরাজের কাছে যায়। বিভিন্ন উপায়ে যুবতীকে কু-প্রস্তাব এবং দৈহিক মিলন করলে প্রেমিকের সাথে ভাল সম্পর্ক হবে বলে তান্ত্রিক জানায়। গত ২৪ আগষ্ট রাতে যুবতীকে দেখা করার জন্য বলে কবিরাজ। পরে কবিরাজের কথা বিশ্বাস করে ২৪ আগষ্ট রাত ১১ টায় তার ফার্মেসীতে যায় যুবতী। দীর্ঘ সময় কথাবার্তা বলার পর কবিরাজ কৌশলে তার বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর ওই কবিরাজ জোর পূর্বক ঘরের দরজা বন্ধ করে যুবতীকে ধর্ষন করে।
ভুক্তভোগী যুবতী জানান, দূর সম্পর্কের আত্মীয় যমুনা রোডের সেকুল, স্বপ্না ও রহিমা আমাকে কবিরাজ ইব্রাহিমের কাছে নিয়ে যায়। আমার সমস্যা সমাধান করবে বলে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ২১ হাজার টাকা প্রদান করি। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। টাকা দেয়ার পর নির্জনে আসন দিবে বলে কবিরাজ তার বাসায় আসতে বলে। তার কথা মত আমি কবিরাজের বাসায় যাই। আসন দেয়ার পর ধুপের ধোয়ায় আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়ি। পড়ে সে আমাকে সারা রাত ধর্ষণ করে। সকালে তার ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর আরও দুইদিন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়া আমাকে ফার্মেসীর ভেতরে রেখে তার স্ত্রীসহ অনেক মারধর করে। আমি প্রশাসনের কাছে তার বিচার চাই।
এ ঘটনার পর গত ১ সেপ্টেম্বর ওই যুবতীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম রাজন নিজ এলাকা থেকে ইব্রাহীমকে আটক করেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, অভিযুক্ত কবিরাজ ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।

শেয়ার করুন