মৈশাদীতে শীলা হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ২

চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের নারী শীলা খানম হত্যকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই। তাদের তথ্য মতে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শীলা খানম নামের ওই নারীকে তার পরকীয়া প্রেমিক ও আরও দু’ বন্ধু মিলে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক রাজিব মজুমদারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক রাজিব মজুমদার (২১) ও তার বন্ধু মো. কামরুল হাসান হৃদয়কে (২২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। নিহত শীলা খানমের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়ুয়া কংশুর গ্রামে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।
পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, প্রধান আসামি রাজীব মজুমদার গোপালগঞ্জের একটি জুয়েলারি দোকানে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় স্থানীয় গৃহবধূ শীলা খানমের সাথে। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শীলা বেগম তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এরপর তার পরকীয়া প্রেমিক রাজীব মজুমদার পরিকল্পনা মতো শীলাকে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। তার উদ্দেশ্য ছিলো লঞ্চযোগে চাঁদপুর আসার পথেই শীলাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিবে। কিন্তু সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের একটি বাগান বাড়িতে এনে অপর ২ বন্ধুর সহযোগিতায় শীলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ জঙ্গলে ফেলে রাখে। পরে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শীলা খানমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় শীলার স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পর মামলাটি পিবিআই তালিকাভুক্ত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় পিবিআই উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমানকে। তদন্ত টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তর মৈশাদি গ্রামের মজুমদার বাড়ি আজিজ মজুমদারের ছেলে প্রধান আসামি মোঃ রাজীব মজুমদার এবং অপর আসামি পাশের ইউনিয়ন আশিকাটির হাঁপানিয়া গ্রামের খান বাড়ির মৃত স্বপন খানের ছেলে মোঃ কামরুল হাসান হৃদয়কে সদর থানাধীন দাসদী গ্রামস্থ পাঠান বাড়ির মোঃ মাসুদ গাজী বাড়ি হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামীদের গ্রেপ্তারকালে ভিকটিম শীলা খানম (২৮) এর ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি মূল আসামি মোঃ রাজিব মজুমদারের নিকট হতে এবং আসামীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সীম কার্ডগুলো উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করা হয়।
আসামিদের চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই’র পুলিশ সুপার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পিবিআই ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান, কবির আহমেদ, এসআই আমিরুল ইসলাম মীর, আমির হোসেনসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মৈশাদী গ্রামের আদুর খাঁর বাড়ীর সামনের বাগান থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

শেয়ার করুন